প্যারিসের ক্যাটাকম্ব জাদুঘর টি মূল শহরের
মাটির নিচে একটি টানেল আকারে গড়ে তোলা। প্রায় ষাট লাখ মানব কংকাল দিয়ে
এটি গড়ে তোলা হয়েছে। শোনা যায়,মৃতদের আত্মা নাকি এই টানেলে প্রায়ই
দৃশ্যমান হয়। কেউ কেউ নেদারল্যান্ডের অ্যানাফ্রাঙ্ক জাদুঘরকেও ভূতুড়ে বলে
আখ্যা দেয়।কারণ অনেকে নাকি একটি বালিকাকে জানালার পাশে নিশ্চল হয়ে
দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে১৬৪১ সালে ক্যাপ্টেন হেনড্রিক ভ্যান ডার ডেকেন তার জাহাজ নিয়ে বের হন। তার ইচ্ছা ছিল সমগ্র বিশ্ব ভ্রমণকরে আবারও তার প্রিয় দেশে প্রত্যাবর্তন করা।কিন্তু তার জাহাজ আর কোনদিন ফেরেনি,ভয়াল সমুদ্র হয়ত তা গ্রাস করেছে। আজও নাকি গভীর সমুদ্রে একটি নাবিক শূন্য ভূতুড়ে জাহাজের দেখা মেলে।লোকে এর নাম দিয়েছে দ্য ফ্লাইং ডাচম্যান।
কেপ টাউনের অধিকাংশ ভবনগুলো ১৬৬৬ থেকে ১৬৭৯-এর মধ্যে নির্মিত।এদের মধ্যে অন্যতম হল ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানী দ্বারা নির্মিত গুড হোপ ক্যাসল। মূলত এটি নির্মিত হয়েছিল বন্দীশালা হিসেবে ব্যবহারের জন্য। ১৭২৯ সালের এপ্রিল মাসে গভর্নর পিটার গিসবার্থ ভ্যান নুয়েড সাতজন সৈনিককে কারাদণ্ড দেন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড এই ক্যাসেলেই কার্যকর হয়। সেই সৈনিকেরা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাদের নির্দোষ বলে দাবী করেছিল এবং বারবার গিসবার্থকে বলেছিল যে ঈশ্বর একদিন তাদের অবিচারের শাস্তি গভর্নর গিসবার্থকে দিয়েই ছাড়বে। ঠিক সেদিনই অজানা কারণে গিসবার্থও মারা যায়। আজও নাকি মৃতপ্রায় সেনাদের সেই অভিশাপ শোনা যায়। অনেকে গিসবার্থকে নাকি স্বচক্ষে ভ্রমণরতও দেখেছে ক্যাসলের ভিতরে।
অস্ট্রেলিয়ার কুইসল্যান্ডের আর্চফিল্ড বিমানবন্দর বেশ পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বিমানবন্দর ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে যখন ২৭ মার্চ ১৯৪৩ সালে একটি সি-৪৭ ডেকোটা পেস্নন উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয় এয়ারপোর্টে। মোট ২৩ জন সেনাকর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই মারা যান। এর মাত্র কিছুদিন পর থেকেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি অভূতপূর্ব ব্যক্তির দেখা পেতে লাগলেন।কেউ কেউ বর্ণনা দেন, লোকটা যুদ্ধ বিমানের পাইলট সম্ভবত, গায়ে ইউনিফর্মপরা, যেন এখনই তাকে যুদ্ধে যেতে হবে। বেশিরভাগ সময়ই রানওয়েতে তাকে একা বিচরণ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে বেটি রোডে তার বিচরণ প্রায়ই লক্ষণীয়।
তাসমেনিয়ার রিচমন্ডে অবস্থিত অন্যতম প্রাচীন নিদর্শনগুলোর একটি রিচমন্ড ব্রিজ। জর্জ সাইমন গ্রোভার নামে এক অপরাধী রিচমন্ড শহরের কুখ্যাতঅন্য অপরাধীদের সাথে জোচ্চরি করেপলায়নরত অবস্থায় ধরা পড়ে যায়। সে অবস্থায় জর্জছিল মাতাল, তার শত্রুরা মারপিটের পর ঐব্রিজ থেকে তাকে নিক্ষেপ করলেজর্জ মারাযায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এখনও জর্জের আত্মাকে ব্রিজ পাড়ি দিতে দেখা যায়।। আরো রহস্যজনক হল, একা কোন মহিলা বা শিশু যদি রাতের বেলা ব্রিজ পাড়ি দেয় তবে একটি বৃহৎ কালো কুকুরকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায়। লোকে একে জর্জ গ্রোভারের কুকুর বলে ডাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপ্টেন রিন্ডসে হাউস মূলত এন্টিক সংগ্রহশালা। অনেকেই বলেন যে এখানে নাকি পরমাত্মারা প্রায়ই বিচরণ করে। প্রচলিত গল্পগুলোর মধ্যে একটি হল- হঠাৎ পাশের ঘরে একটি শব্দ হল, দর্শক পাশের ঘরে গিয়ে দেখল যে সব কিছুই যথাযথ স্থানে সাজানো আছে। অতপর তারা পূর্বের ঘরে ফিরে এসে দেখল বিছানার চাদরে পাঁচ আঙ্গুলের হাতের ছাপ!
ম্যাসাচুসেটস -এর ৪৪নং রুটের লাল চুলো আগন্তুক এক কুখ্যাত ভূত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, চলমান গাড়ি থেকে রাস্তার মাঝখানে হন্টনরত একটি লোককে নাকি প্রায়ই দেখা যায়। পরনে জিন্সের প্যান্ট, লাল ফ্লানেলের শার্ট, দাড়িএবং চুল লাল রঙের এই ভদ্রলোক নাকি এই রাস্তাতেই অনেক দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন।
বোস্টনের চার্লসগেট হোস্টেলটি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হোস্টেল হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু একবার এক ছাত্র এখানে আত্মহত্যা করায় কর্তৃপক্ষ এমারসন কলেজকে ১৯৮১ সালে তা বিক্রি করে দেয়। কিন্তু লিফটে এক ছাত্রীর মৃত্যু হওয়ায় ধরে নেয়া হল যে হোস্টেলটি ভূতুড়ে। অনেক শিক্ষার্থী নাকি রহস্যময় ছায়ার দর্শন পেয়েছিল। অনুসন্ধান করতে নেমে তারা এক রহস্যাবৃত সত্যউদঘাটন করল। হোস্টেলের দেয়ালের ভেতরে এক গোপন কামরায় তারা কাল জাদু চর্চার প্রমাণ পায়। ১৯৯৪ সালে হোস্টেলটি নিলামে বিক্রি হয়ে গেলে কনডোমিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়।
( সংগৃহীত )
সূত্র:ইন্টারনেট
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে১৬৪১ সালে ক্যাপ্টেন হেনড্রিক ভ্যান ডার ডেকেন তার জাহাজ নিয়ে বের হন। তার ইচ্ছা ছিল সমগ্র বিশ্ব ভ্রমণকরে আবারও তার প্রিয় দেশে প্রত্যাবর্তন করা।কিন্তু তার জাহাজ আর কোনদিন ফেরেনি,ভয়াল সমুদ্র হয়ত তা গ্রাস করেছে। আজও নাকি গভীর সমুদ্রে একটি নাবিক শূন্য ভূতুড়ে জাহাজের দেখা মেলে।লোকে এর নাম দিয়েছে দ্য ফ্লাইং ডাচম্যান।
কেপ টাউনের অধিকাংশ ভবনগুলো ১৬৬৬ থেকে ১৬৭৯-এর মধ্যে নির্মিত।এদের মধ্যে অন্যতম হল ডাচ ইস্ট ইন্ডিয়ান কোম্পানী দ্বারা নির্মিত গুড হোপ ক্যাসল। মূলত এটি নির্মিত হয়েছিল বন্দীশালা হিসেবে ব্যবহারের জন্য। ১৭২৯ সালের এপ্রিল মাসে গভর্নর পিটার গিসবার্থ ভ্যান নুয়েড সাতজন সৈনিককে কারাদণ্ড দেন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড এই ক্যাসেলেই কার্যকর হয়। সেই সৈনিকেরা মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাদের নির্দোষ বলে দাবী করেছিল এবং বারবার গিসবার্থকে বলেছিল যে ঈশ্বর একদিন তাদের অবিচারের শাস্তি গভর্নর গিসবার্থকে দিয়েই ছাড়বে। ঠিক সেদিনই অজানা কারণে গিসবার্থও মারা যায়। আজও নাকি মৃতপ্রায় সেনাদের সেই অভিশাপ শোনা যায়। অনেকে গিসবার্থকে নাকি স্বচক্ষে ভ্রমণরতও দেখেছে ক্যাসলের ভিতরে।
অস্ট্রেলিয়ার কুইসল্যান্ডের আর্চফিল্ড বিমানবন্দর বেশ পরিচিত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই বিমানবন্দর ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে যখন ২৭ মার্চ ১৯৪৩ সালে একটি সি-৪৭ ডেকোটা পেস্নন উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণ পরই বিধ্বস্ত হয় এয়ারপোর্টে। মোট ২৩ জন সেনাকর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই মারা যান। এর মাত্র কিছুদিন পর থেকেই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একটি অভূতপূর্ব ব্যক্তির দেখা পেতে লাগলেন।কেউ কেউ বর্ণনা দেন, লোকটা যুদ্ধ বিমানের পাইলট সম্ভবত, গায়ে ইউনিফর্মপরা, যেন এখনই তাকে যুদ্ধে যেতে হবে। বেশিরভাগ সময়ই রানওয়েতে তাকে একা বিচরণ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে বেটি রোডে তার বিচরণ প্রায়ই লক্ষণীয়।
তাসমেনিয়ার রিচমন্ডে অবস্থিত অন্যতম প্রাচীন নিদর্শনগুলোর একটি রিচমন্ড ব্রিজ। জর্জ সাইমন গ্রোভার নামে এক অপরাধী রিচমন্ড শহরের কুখ্যাতঅন্য অপরাধীদের সাথে জোচ্চরি করেপলায়নরত অবস্থায় ধরা পড়ে যায়। সে অবস্থায় জর্জছিল মাতাল, তার শত্রুরা মারপিটের পর ঐব্রিজ থেকে তাকে নিক্ষেপ করলেজর্জ মারাযায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এখনও জর্জের আত্মাকে ব্রিজ পাড়ি দিতে দেখা যায়।। আরো রহস্যজনক হল, একা কোন মহিলা বা শিশু যদি রাতের বেলা ব্রিজ পাড়ি দেয় তবে একটি বৃহৎ কালো কুকুরকে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখা যায়। লোকে একে জর্জ গ্রোভারের কুকুর বলে ডাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপ্টেন রিন্ডসে হাউস মূলত এন্টিক সংগ্রহশালা। অনেকেই বলেন যে এখানে নাকি পরমাত্মারা প্রায়ই বিচরণ করে। প্রচলিত গল্পগুলোর মধ্যে একটি হল- হঠাৎ পাশের ঘরে একটি শব্দ হল, দর্শক পাশের ঘরে গিয়ে দেখল যে সব কিছুই যথাযথ স্থানে সাজানো আছে। অতপর তারা পূর্বের ঘরে ফিরে এসে দেখল বিছানার চাদরে পাঁচ আঙ্গুলের হাতের ছাপ!
ম্যাসাচুসেটস -এর ৪৪নং রুটের লাল চুলো আগন্তুক এক কুখ্যাত ভূত। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা মতে, চলমান গাড়ি থেকে রাস্তার মাঝখানে হন্টনরত একটি লোককে নাকি প্রায়ই দেখা যায়। পরনে জিন্সের প্যান্ট, লাল ফ্লানেলের শার্ট, দাড়িএবং চুল লাল রঙের এই ভদ্রলোক নাকি এই রাস্তাতেই অনেক দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিলেন।
বোস্টনের চার্লসগেট হোস্টেলটি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা হোস্টেল হিসেবে ব্যবহার করত। কিন্তু একবার এক ছাত্র এখানে আত্মহত্যা করায় কর্তৃপক্ষ এমারসন কলেজকে ১৯৮১ সালে তা বিক্রি করে দেয়। কিন্তু লিফটে এক ছাত্রীর মৃত্যু হওয়ায় ধরে নেয়া হল যে হোস্টেলটি ভূতুড়ে। অনেক শিক্ষার্থী নাকি রহস্যময় ছায়ার দর্শন পেয়েছিল। অনুসন্ধান করতে নেমে তারা এক রহস্যাবৃত সত্যউদঘাটন করল। হোস্টেলের দেয়ালের ভেতরে এক গোপন কামরায় তারা কাল জাদু চর্চার প্রমাণ পায়। ১৯৯৪ সালে হোস্টেলটি নিলামে বিক্রি হয়ে গেলে কনডোমিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়।
( সংগৃহীত )
সূত্র:ইন্টারনেট
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন