সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আপনার মোবাইল কিনার সময় লক্ষ্য করুন (প্রয়োজনীয় টিপস)

আজ আমরা দেখবো কিভাবে আপনি ষ্টোর থেকে একটি মোবাইল ক্রয় করার সময় তার মান পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। তবে চলুন শুরু করিঃ

ডিসপ্লেঃ

আপনি হয়তো আপনার বন্ধু বা অন্য কারো মোবাইলে লক্ষ্য করেছেন যে তাদের অনেকের মোবাইলে হাই রেজুলেসনের ছবি দেখাচ্ছে না? কেন দেখচ্ছে না? উত্তর সিম্পল। কারণ হচ্ছে তাদের ডিসপ্লে ছোট বা সেই পিকচার দেখানোর মতন ক্ষমতা সেই মোবাইলের নেই।
এখন আপনি আমাকে বলুন আপনি কি চান যে আপনার মোবাইলে ১৬০০X১২০০ সাইজের একটি পিকচার দেখতে যেয়েই চুল ছিড়তে হয়? অবশ্যই না। যেখানে অন্যরা এতো বড়, বড় সাইজের, রেজুলেসন এর পিকচার দেখে নিচ্ছে সেখানে আপনি কেন না বুঝে মোবাইল কিনে বোকার মতো বসে থাকবেন?

তাই ষ্টোর এর মাঝে থাকা কম্পিউটার থেকে হাই রেজুলেসন এর একি পিকচার নামিয়ে তা মোবাইল দিকে দেখুন। যদি পরিষ্কার ভাবে দেখায় তবে পারফেক্ট। অতঃপর লক্ষ্য করুন পিকচারের “রঙ, ব্রাইটনেস” ঠিক আছে কিনা।
এবার আপনার মোবাইলের ব্রাউজার বা নোট ওপেন করুন। এবং সেখানে কিছু টাইপ করে দেখুন যে মোবাইলের ফন্ট বা লেখার আকৃতি কিরকম। পরিষ্কার নাকি ঝাপসা?

টাচস্ক্রীনঃ

জনপ্রিয়তার মাঝে এখন বর্তমানে শীর্ষে আছি টাচ! মানুষ এখন আর বেশি কষ্ট করতে চায় না, তারা কিপ্যাড এর মাঝে বাটন চেপে সময় নষ্ট করার মাঝে নেই। সবাই এখন চায় যে টাচ দিলেই কাজ হয়ে যায়। আর সেই টাচই যদি আপনার নষ্ট বা খারাপ থাকে তবে চিন্তা করুন কিরকম একটি ঝামেলা হবে না?? তবে চলুন দেখি কিভাবে টাচস্ক্রীন টা ৯০% সঠিক ভাবে পরীক্ষা করে নিতে পারি আমরা মোবাইল কিনার সময়ঃ

আপনার কিনতে যাওয়া মোবাইল থেকে মেসেজ বা নোটপ্যাড ওপেন করুন। এবার আপনি কিছু কথা চিন্তা করে নিন যা ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটের মাঝে আপনি টাইপ করতে পারবেন এবং উক্ত মোবাইলটি দ্বারা সম্ভব। এবার স্টার্ট বলে টাইপ শুরু করে দিন। সময় শেষ হলে থেমে যান।
কি বুঝলেন? সঠিক ভাবে মোবাইলটিতে সব কিছু টাইপ হয়েছে তো? যদি হয়ে থাকে তবে অতান্ত ভালো, আপনার টাচ ঠিক আছে সঠিক ভাবে। আর যদি টাইপ সঠিক ভাবে না হয়ে থাকে? তবে চিন্তা করুন আপনি কি টাইপ করতে মিস্টেক করেছিলেন? বা লাইন থেকে বেলাইনে যেয়ে টাইপ করতেছিলেন? না? তবে আর কি, আমরা বলতেই পারি যে টাচস্ক্রীন এর মাঝে সমস্যা রয়েছে।

ক্যামেরাঃ

এটি দিয়ে আপনি কি করেন, বা করবেন তা নাহয় আর নাই বললাম! চলুন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রবেশ করা যাকঃ
আপনার মোবাইলটির ক্যামেরা দিয়ে কিছু পিকচার তুলুন। আর হ্যাঁ অবশ্যই ফুল সাইজে তুলবেন এবং কালার ঠিক করে নেবেন অপশন থেকে। এবার আপনার কাজ হচ্ছে পিকচার গুলো অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মতন আপনার চোঁখ দিয়ে খুঁটিয়ে,খুঁটিয়ে দেখা। কি দেখেলন? পিকচার গুলো পরিষ্কার আর রঙ ঠিক আছে তো? তবে আপনার যখন তাই মনে হয়েছে তবে এখানে আর বাধা দেবার কিছু নেই। পারফেক্ট আপনি নিতে পারেন।

এবার চলুন ভিডিও দেখা যাক। কিছু ভিডিও তুলুন এবং দেখুন সব ঠিক আছে কিনা! যদি ঠিক থাকে তবে আপনার মোবাইলের ক্যামেরা পারফেক্ট আছে বলে আপনি ধরে নিতে পারেন।
আর হ্যাঁ অবশ্যই পিকচেল দেখে নিবেন যে সঠিক আছে কিনা। অনেকে ৬/৭ মেগা পিকচেল লিখে রাখে কিন্তু বাস্তবে তা থাকে না।

ডিজাইনঃ

আপনি যদি কিছু কিনতে যান তবে তার বাহিরেরটাই আগে লক্ষ্য করেন। যদি ভেতরে থাকে পরিষ্কার কিন্তু বাহিরে নোংরা প্রকিতির তবে ৯৯.৯৯% সময়ে আপনি তা নেবেন না। কারণ আপনি তার কাছেই ঘেষবেন না কখনো। তাই প্রয়োজন একটি সুন্দর ও সঠিক ডিজাইন দেখে মোবাইল কিনার।
এখানে শুধু মাত্র বাহিরের সুন্দরের জন্য নয় এখানে একটি মোবাইল কিনার সময় ডিজাইন দেখা দরকার এই কারণে যেঃ সেটি আপনার ব্যাগ বা পকেটে আটবে কিনা। হাল যুগের সাথে তাল মিলায় কিনা। আপনার স্টাইল এর সাথে আপনার মোবাইলটি যায় কিনা ইত্যাদি দেখে।

কারণ ষ্টোর এ যেয়ে লাফ-ঝাফ দিয়ে একটি কিনে ফেললেই তো আর হলো না, কারণ যেটি কিনছেন সেটি আপনার সব সময়কার সঙ্গী। তাই যা কিনবেন বুঝে-শুনে।

ক্ষমতাঃ

তাক ধিনা ধিন করে একটি মোবাইল কিনে নিয়ে আসলেন সব দেখে! কিন্তু এসে দেখলেন এর কার্যক্ষমতা এই গেলো, এই গেলোরে মার্কা তবে কেমন লাগবে? তাই মোবাইল কিনার সময় এর সকল রিসিট , ওরেন্টি, গ্যারান্টি , ব্যাটারির চার্জ কতক্ষণ থাকবে সব দেখে কিনতে হবে।।

নেটওয়ার্কঃ

আপনিই বলুন মাকাল ফল কিনে লাভ আছে? ফলটির বাহিরের সব কিছুতেই চাকচিক্য আছে বুঝতে পারলাম, দেখতেও সুন্দর। তবে ফল মানুষ মূলত কিসের জন্য কিনে? অবশ্যই খাবার জন্য তাই নয় কি? তাহলে মাকাল ফল কি খাওয়া যায়?? না, খাওয়া যায় না। তবে এর কি কোন মূল্য আছে? নেই এক বিন্দু মূল্য নেই।

ঠিক সেরকমই আপনার মোবাইলটি। নেটওয়ার্ক নেই তো সব শূন্য। আমরা যে এতক্ষণ এতো কিছু দেখলাম তার কোন লাভই হবে না যদি নেটওয়ার্ক না থাকে। তাই এখন আপনাকে দেখতে হবে মোবাইলের ইন্টারনেট , সিম ইত্যাদির নেটওয়ার্ক ঠিক আছে কিনা বা পরবর্তীতে কোন সমস্যা দেখা দিতে পারে কিনা। ইত্যাদি।

প্রসেসরঃ

প্রসেসর ডেম তো সব ডেম!! তাই মোবাইল কিনার সময় প্রসেসর এর কার্যক্ষমতা দেখে নিবেন। চলুন দেখি কিভাবে কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করবোঃ
আপনার মোবাইল থেকে একটি ভালো মানের ভিডিও প্লে করুন। যদি ভিডিও টি সুন্দর ভাবে চলতে থাকে এবং কোন সমস্যা না দেখা যায় তবে তা বন্ধ করুন। আর হ্যাঁ অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে “একটি ভিডিও ওপেন হয়ে প্লে হতে কতক্ষণ সময় নেয়” । কারণ এতেই বুঝা যায় যে প্রসেসর এর স্পীড কম নাকি বেশি!!

এবার আপনার মোবাইলে সেটআপ থাকা কিছু এপ্লিকেশন ওপেন করুন এবং ভিডিও ক্যামেরা অন করে ভিডিও করতে থাকুন। যদি প্রসেসর থেমে যায় বা মোবাইল কাজ না করে কিছুক্ষণ অফ হয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে আপনার প্রসেসর সেই রকম ভালো মানের কিছু নয়। তবে হ্যাঁ অবশ্যই আপনি আগে চিন্তা করবেন আপনি এসব কি মোবাইল দ্বারা চেক করছেন? নকিয়া, সেমসাং আইফোন নাকি চায়না মোবাইল? হাঁ হাঁ হাঁ!!

সাউন্ডঃ

সাধারণত আমি নিজে মোবাইলে বেশিরভাগ সময় গান, FM ইত্যাদি শুনতে বেশি পছন্দ করে থাকি। আমার ধারণা মতে এটি সবাই পছন্দ করে এবং করে থাকে। তাই একটি মোবাইলের সাউন্ড এর কোয়ালিটি অতান্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বেশ প্রাধান্য পেয়ে থাকে।

আপনার মোবাইলের MP3 প্লেয়ার ওপেন করে গান ছেড়ে দিন ফুল ভলিওম এ এবং হেডফোন দিয়ে চেক করুন যে সাউন্ড শুনতে অন্যরকম লাগছে কিনা। যদি আপনার কাছে ভালো লাগে এবং আসলেই মনে হয় যে ঠিক আছে, তবে আমরাও বলবো ঠিক আছে। তাই আপনি এখন মোবাইলটি নিতে পারেন :)

 কৃতজ্ঞতাঃ তামিম (বাংলার মানুষ)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঢাকা শহরের আগের রূপ দেখুন

ভাবতেই অবাক লাগে আমাদের ঢাকা আগে কি ছিলো আর এখন কি অবস্তা। হতে পারতো এটি একটি পরিকল্পিত নগরী । আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের ঢাকার কিছু পুরানো ছবি। ১৯৮০ সাল - ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন ১৯৮০ সাল - মিটফোর্ড হাসপাতাল, বাবু বাজার, ঢাকা ১৯৬৩ সাল - গুলিস্থান সিনামা হল, দেশের প্রথম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হল। ঢাকা আহসান মঞ্জিল চক বাজার-১৯০৪ সাল বাবু বাজার--১৮৮০ দেওয়ান বাজার মসজিদ -১৮৮০ কবি নজরুল কলেজ -১৮৮০ ঢাকা স্টোডিয়াম ১৮৫০ ১৯০৪ সাল - আজিমপুর সলিমুল্লাহ মাদ্রাসা ১৮৯০ সাল - রেসকোর্স ময়দান ১৯০৫ সাল - ইসলামপুর ঢাকা ১৮৭০ সাল - ধোলাই খাল ১৮৭০ সাল - বুড়ীগঙ্গার তীরে মন্দির নবাবদের পার্ক মোহাম্মদ মসজিদ-১৮৮৫ রমনা গেইট -১৮৭০ লালবাগ --১৮৭৫ দিলকুশা গার্ডেন--১৯০৪      

ভাইরাস এবং এন্টিভাইরাস

ভাইরাসঃ ভাইরাস একটি ক্ষতিকারক কম্পিউটার প্রোগ্রাম। কম্পিউটার ভাইরাস বাইরের উৎস থেকে কম্পিউটারের মেমোরিতে প্রবেশ করে এবং গোপনে বিস্তার লাভ করে মূল্যবান প্রোগ্রাম, তথ্য নষ্ট করা ছাড়াও অনেক সময় কম্পিউটারকে অচল করে দেয়। কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন একটি প্রোগ্রাম যা একটি ধ্বংসকারী হিসেবে নিজেকে (অথার্ৎ এর “এক্সিকিউটেবল” অংশকে) অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে সেঁটে দিয়ে নিজের অসংখ্য প্রতিরুপ (ডুপলিকেট) তৈরির মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটায় এবং পর্যায়ক্রমে এর ধ্বংসযজ্ঞের বিস্তৃতির নিশ্চয়তা বিধান করে। প্রকারান-রে এ সংক্রমিত প্রোগ্রামগুলো ভাইরাসের হয়ে অন্যান্য সুস’ প্রোগ্রামগুলোতে সংক্রমণ ঘটায়। কম্পিউটারের পরিভাষায় ভাইরাস (Virus) শব্দটিকে ভাঙলে পাওয়া যায় ’’ভাইটাল ইনফরমেশন রিসোর্সস আন্ডার সিজ’’ বা Vital Information Resources Under Seize = VIRUS . অথ্যার্ৎ গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রখ্যাত গবেষক প্রেড কোহেন ভাইরাস এর নামকরণ করেন। আবার অনেকেই VIRUS কে Very Important Resource under Seize নামেও অভিহিত করে থাকেন। ...

jokes(daily update) 7

Jokes 1 এক লোক গেছে ড্রাইভিং লাইসেন্স আনতে। তাকে দেখানো হলো জেব্রা ক্রসিংয়ের ছবি,গিয়ারবক্স, রোড সাইন এগুলো। সে বলল- কিছুই চিনি না। পরিদর্শক বললেন, 'তোমার তো বেসিক জ্ঞ্যানই নাই, লাইসেন্স দেয়া হবে না।' লোকটা একটা ছবি বের করে বলল, 'এনারা আমাকে পাঠিয়েছেন।' পরিদর্শক বলল, 'এনাদের কে চেনো?' লোকটি বলল, 'চিনিঃ একজন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আরেকজন প্রাক্তন অর্থ মন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত।' পরিদর্শক লিখে দিলেন, 'লাইসেন্স দেয়া যেতে পারে। মন্ত্রী বলেছেন গরু ছাগল চিনলে লাইসেন্স দেয়া যাবে। আবেদনকারীর এই যোগ্যতা প্রমানিত হয়েছে।' Jokes 2 ১৯৯৫ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কখন যায় রে ২য় বন্ধু :জানি না । মনে হয় মাসে একবার ২০০০ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কেন গেল রে ...২য় বন্ধু :মনে হয় ট্রান্সফরমার পাল্টাইতাছে ২০১০ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কখন আসবে ? ২য় বন্ধু :আমাদের এলাকায় গেলে তোদের এলাকায় আসবে ২০১৪ ১ম বন্ধু : শুনলাম আজ নাকি কারেন্ট আসবে ? ২য় বন্ধু :না রে ,সব ভুয়া খবর । আজকে রাজশাহীর দিন ,কালকে খুলনা ,এরপর ঢাকা ২০২১ ১ম বন্ধু :দোস্ত আগেকার দিনে বলে কারেন্ট আসত ২য...