ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। শত শত বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত। একদিন ফেসবুকে না ঢুকলে ভালো লাগে না। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো ফেসবুক যেকোনো সময় বিনা নোটিশে আপনার এই শখের একাউন্টটি বন্ধ করে দিতে পারে। আর তাই আমাদের সবারই সতর্ক থাকা উচিত এবং জানা থাকা উচিত কি কারণে ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ হতে পারে।
ভাষার অপব্যবহার : স্টাটাস আপডেট অথবা ম্যাসেজ আদান-প্রদানের সময় ভাষার প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করলে আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা কেউ আপনার নামে রিপোর্ট করতে পারে। এতে একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ভুয়া প্রোফাইল : আপনি যদি আপনার নিজের নামের বদলে কোনো সেলিব্রেটি অথবা অন্য কারও নাম ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার একাউন্ট বন্ধ করা হবে খুব তাড়াতাড়ি।
হুমকি দেওয়া : কাউকে হুমকি দেওয়ার জন্য কখনই আপনার ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার করবেন না। এমনকি মজা করার জন্য হলেও না। ফেসবুক এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এবং খুব দ্রুত একাউন্ট সাসপেন্ড করে দেয়।
স্প্যামিং করা : শুধু ফেইসবুক নয়, পুরা ইন্টারনেট জগৎ এটিকে ঘৃণা করে। আপনার পণ্য বা ওয়েবসাইট প্রোমোট করার জন্য ফেসবুক একাউন্ট ব্যবহার না করাই ভালো। তবে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত এটি করা যেতে পারে যেটি স্প্যামিংয়ের পর্যায়ে পড়ে না।
অতিরিক্ত বন্ধু রিকোয়েস্ট : প্রতিদিন ২০টির বেশি ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাবেন না। যত কম হয় ততই ভালো। ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ হওয়ার এটি আরেকটি অন্যতম কারণ।
অনেক গ্রুপে জয়েন করা : খুব বেশি গ্রুপে জয়েন না করাই ভালো। ফেসবুক এটি ভালো চোখে দেখে না। আর গ্রুপগুলো থেকে ম্যাসেজ এসে আপনার ইনবক্স ভর্তি হয়ে যাবে প্রতিদিন।
অতিরিক্ত ম্যাসেজ : আপনি যদি আপনার বন্ধুদের ওয়াল অথবা ইনবক্সে প্রতিদিন অনেক বেশি ম্যাসেজ পোস্ট করেন, তাহলে আপনার ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর একই ম্যাসেজ বারবার দিতে চাইলে সেখানে কিছুটা পরিবর্তন করে দিন। না হলে ফেসবুক এটি স্প্যাম হিসেবে ধরবে। ফেসবুক ব্যবহারের সময় এই বিষয়গুলোর দিকে একটু খেয়াল রাখলে আপনার ফেসবুক একাউন্ট বন্ধ হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকবে না। আর ফেসবুক ব্যবহারও হয়ে উঠবে মজার ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।
volkswagen baltimore
উত্তরমুছুনThanks for the tips on the blog comments. I have also found that commenting on blogs has helped hits to my website.