সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

মাদারবোর্ডের Bios আপডেট করুন।{Intel}


বায়োস হল সফটওয়্যার যা মাদারবোর্ডের মধ্যে পূর্বেই সেটআপ করা থাকে। পিসির পাওয়ার অন করা থেকে শুরু করে পিসির ওপারেটিং সিস্টেম ওপেন বা লোডিং এর আগ পর্যন্ত যেটুকু দৃশ্যমান থাকে তাকে বায়োস বলে। শুরুতে বায়োস পিসির হার্ডওয়্যার গুলোকে সনাক্ত করতে সাহায্য করে। যেমনঃ ডিভিডি রোম, হার্ড ড্রাইভ, ভিডিও ডিসপ্লে কার্ড, অপটিক্যাল ডিস্ক ড্রাইভ, কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি। বায়োস সফটওয়্যার মাদারবোর্ডের Non-volatile ROM chip  এর মধ্যে থাকে। যা পিসির হার্ডওয়্যার জনিত যে কোন ত্রুটির প্রাথমিক ধারনা দেয়। আমরা অনেক সময় দেখি যে হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ সমস্যার কারনে বুট নিচ্ছে না। তখন Error জনিত যে সঙ্কেত গুলো পাওয়া যায় তা হলো বায়োস এর দেওয়া তথ্য। এছাড়াও অন্যান্য যত Error প্রাথমিক পর্যায়ে দেখা যায় তা মূলত বায়োস এর দেয়া তথ্য। 
তাই বুঝতেই পারছেন বায়োস এর ব্যাপারটা কতটা গুরুত্বপূর্ন। বায়োস এ কোন সমস্যা থাকলে  আপডেট করলে সমাধান হয়। কারন আপডেট বায়োসে নতুন নতুন অনেক ফিচার যুক্ত করা হয়ে থাকে।  চলুন আপডেট এর কাজ শুরু করা যাক।

বর্তমান Bios Version কত তা জানতে হলে Power অন করে Intel Scene আসলে F2 চাপুন। এখন জেনে নিন আপনার Bios Version কত এবং তা লিখে রাখুন। নিচের ছবিতে দেখুন।
এরপর আপনাকে জানতে হবে Motherboard Model। আগেই মডেল এর কথাটা বলা হত। কিন্তু বোঝার সুবিধার্থে বায়োস ভার্সন জানার পরে মাদারবোর্ড সম্পর্কে বলা।  যদি Motherboard এর বক্স বা ক্যাটালগ হারিয়ে থাকেন, Motherboard Model খুজে পান না সমস্যা নেই।   পিসি চালু করুন। চালু সম্পন্ন হলে কীবোর্ডের উইন্ডোজ বাটন ধরে রেখে R চাপুন। নিচের ছবি দেখুন।
এখন নিচের মত করে আসবে।
dxdiag টাইপ করুন---->Ok------>Yes  চাপুন।
এখন দেখুন আপনার MotherBoard Model যা System Model হিসেবে দেখা যাবে। নিচে দেখুন।
একটি কাগজে কলম দিয়ে বড় অক্ষরে Motherboard Model লিখে ফেলুন।
নিচে ইন্টেলের সব মডেল দেওয়া আছে, আপনার টার মডেল মিলিয়ে দেখুন ঠিক আছে কিনা।




নিচের লিংকে ভিসিট করুন এবং নিচের ছবিগুলোর নির্দেশনা অনুসরন করুন।
http://downloadcenter.intel.com/------>>>>>>>>>>>Go
(১) Motherboard Model দিয়ে Search করুন।
(২) আপনি যে Operating System ব্যবহার করেন সেটা Select করুন।(অবশ্যয়ই উইন্ডোজ হতে হবে)।
(৩) Bios Select করুন।
(৪) একেবারে প্রথম উপরের নতুন বায়োস আপডেট ফাইলটি Select করুন।
এখন নিচের মত আসবে। শুধুমাত্র .EXE বায়োস ফাইলটি সিলেক্ট করুন। বাকি ফাইল যেগুলো দেখাবে ওগুলো উইন্ডোজের জন্য যথাযথ নয়। সবুজ ঘরে আপনার Motherboard Model আর বাকি অংশ হল বায়োস ভার্সন। এখন মিলিয়ে দেখুন আপনার লিখা কাগজের সাথে বায়োস নতুন ভার্সন কিনা। হলে Download এ ক্লিক করুন।
Download সম্পন্ন হলে বায়োস ফাইলটি C: Drive এর Temp ফোল্ডারে রাখুন। নিচের ছবিতে দেখুন।
এখন Install করার পর Restart নিবে।   প্রথম যেভাবে  Bios Version চেক করেছিলেন সেভাবে চেক করেন।
বিঃদ্রঃ এই পর্ব শুধুমাত্র Intel Motherboard ব্যবহার কারীদের জন্যে ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঢাকা শহরের আগের রূপ দেখুন

ভাবতেই অবাক লাগে আমাদের ঢাকা আগে কি ছিলো আর এখন কি অবস্তা। হতে পারতো এটি একটি পরিকল্পিত নগরী । আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের ঢাকার কিছু পুরানো ছবি। ১৯৮০ সাল - ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন ১৯৮০ সাল - মিটফোর্ড হাসপাতাল, বাবু বাজার, ঢাকা ১৯৬৩ সাল - গুলিস্থান সিনামা হল, দেশের প্রথম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হল। ঢাকা আহসান মঞ্জিল চক বাজার-১৯০৪ সাল বাবু বাজার--১৮৮০ দেওয়ান বাজার মসজিদ -১৮৮০ কবি নজরুল কলেজ -১৮৮০ ঢাকা স্টোডিয়াম ১৮৫০ ১৯০৪ সাল - আজিমপুর সলিমুল্লাহ মাদ্রাসা ১৮৯০ সাল - রেসকোর্স ময়দান ১৯০৫ সাল - ইসলামপুর ঢাকা ১৮৭০ সাল - ধোলাই খাল ১৮৭০ সাল - বুড়ীগঙ্গার তীরে মন্দির নবাবদের পার্ক মোহাম্মদ মসজিদ-১৮৮৫ রমনা গেইট -১৮৭০ লালবাগ --১৮৭৫ দিলকুশা গার্ডেন--১৯০৪      

ভাইরাস এবং এন্টিভাইরাস

ভাইরাসঃ ভাইরাস একটি ক্ষতিকারক কম্পিউটার প্রোগ্রাম। কম্পিউটার ভাইরাস বাইরের উৎস থেকে কম্পিউটারের মেমোরিতে প্রবেশ করে এবং গোপনে বিস্তার লাভ করে মূল্যবান প্রোগ্রাম, তথ্য নষ্ট করা ছাড়াও অনেক সময় কম্পিউটারকে অচল করে দেয়। কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন একটি প্রোগ্রাম যা একটি ধ্বংসকারী হিসেবে নিজেকে (অথার্ৎ এর “এক্সিকিউটেবল” অংশকে) অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে সেঁটে দিয়ে নিজের অসংখ্য প্রতিরুপ (ডুপলিকেট) তৈরির মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটায় এবং পর্যায়ক্রমে এর ধ্বংসযজ্ঞের বিস্তৃতির নিশ্চয়তা বিধান করে। প্রকারান-রে এ সংক্রমিত প্রোগ্রামগুলো ভাইরাসের হয়ে অন্যান্য সুস’ প্রোগ্রামগুলোতে সংক্রমণ ঘটায়। কম্পিউটারের পরিভাষায় ভাইরাস (Virus) শব্দটিকে ভাঙলে পাওয়া যায় ’’ভাইটাল ইনফরমেশন রিসোর্সস আন্ডার সিজ’’ বা Vital Information Resources Under Seize = VIRUS . অথ্যার্ৎ গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রখ্যাত গবেষক প্রেড কোহেন ভাইরাস এর নামকরণ করেন। আবার অনেকেই VIRUS কে Very Important Resource under Seize নামেও অভিহিত করে থাকেন। ...

jokes(daily update) 7

Jokes 1 এক লোক গেছে ড্রাইভিং লাইসেন্স আনতে। তাকে দেখানো হলো জেব্রা ক্রসিংয়ের ছবি,গিয়ারবক্স, রোড সাইন এগুলো। সে বলল- কিছুই চিনি না। পরিদর্শক বললেন, 'তোমার তো বেসিক জ্ঞ্যানই নাই, লাইসেন্স দেয়া হবে না।' লোকটা একটা ছবি বের করে বলল, 'এনারা আমাকে পাঠিয়েছেন।' পরিদর্শক বলল, 'এনাদের কে চেনো?' লোকটি বলল, 'চিনিঃ একজন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আরেকজন প্রাক্তন অর্থ মন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত।' পরিদর্শক লিখে দিলেন, 'লাইসেন্স দেয়া যেতে পারে। মন্ত্রী বলেছেন গরু ছাগল চিনলে লাইসেন্স দেয়া যাবে। আবেদনকারীর এই যোগ্যতা প্রমানিত হয়েছে।' Jokes 2 ১৯৯৫ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কখন যায় রে ২য় বন্ধু :জানি না । মনে হয় মাসে একবার ২০০০ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কেন গেল রে ...২য় বন্ধু :মনে হয় ট্রান্সফরমার পাল্টাইতাছে ২০১০ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কখন আসবে ? ২য় বন্ধু :আমাদের এলাকায় গেলে তোদের এলাকায় আসবে ২০১৪ ১ম বন্ধু : শুনলাম আজ নাকি কারেন্ট আসবে ? ২য় বন্ধু :না রে ,সব ভুয়া খবর । আজকে রাজশাহীর দিন ,কালকে খুলনা ,এরপর ঢাকা ২০২১ ১ম বন্ধু :দোস্ত আগেকার দিনে বলে কারেন্ট আসত ২য...