সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পৃথিবীর দশ আকর্ষণীয় ও ব্যয় বহুল বাড়ি!!

আমাদের পৃথিবীতে যে কত ধরনের মানুষ আছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। কেউ টাকার অভাবে খেতে পায় না আবার কারো টাকা কোথায় কিভাবে উড়াবে তা খুজে পায় না। আজ  আমি সেরকম  কিছু মানুষের  সৃষ্টির  কথা বলব। আমারা যারা বাংলাদেশে বসবাস  করি তাদের অনেকই  সীমিত  আয়ে চলতে হয় তারা থাকে ভাড়া করা কিংবা জাদের  অবস্থা ভালো তাদের হয়ত  নিজের বাড়ি আছে। আজ  আমি আপনাদের সাথে পৃথিবীর দশ আকর্ষণীয় ও ব্যয় বহুল  বাড়ির  সাথে পরিচয়  করে দিব। তাহলে শুরু করা যাক

1. Antilla:


এই বাড়িটি হল  পৃথিবীর সবচেয়ে দামী বাড়ি। বাড়িটি অবস্থিত  ভারতে আর বাড়িটি যার  সে হল  বর্তমানে পৃথিবীর  অন্যতম  শীর্ষ  ধনী বাক্তি। তার নাম হল মুকেশ আম্বানি।
এই বাড়ির মূল্য ১ বিলিয়ন  ডলার , বাড়িটির  ভিতরে আছে ২৭ টি ফ্লোর । আর  আছে একটি হেল্‌থ  ক্লাব , একটি গ্যারাজ  যার  ধারন  ক্ষমতা প্রায়  ১৫০ টি গাড়ি। শুনে অবাক  হওয়ারে কথা । আর অবাক হওার বিষয়  এই  লোকের  নিজেরি ১৬৮ টি গাড়ি আছে( শুনে ভয় পাওায়া আর  আপসোস  হওয়ার মত)। বাড়িটির  বাহির  নির্মিত হয়েছে গ্লাস  দিয়ে আর  উচ্চতা ৫৭০ ফিট।


2. William Randolph Hearst’s Mansion:


এই সুন্দর বাড়িটির নাম হল “William Randolph Hearst”। বাড়িটিতে আছে তিনটি সুমিংপুল , ২৯টি বেডরুম, একটি সিনেমা হল এবং অন্যান্য বিলাসদ্রব্য। বাড়িটি ২০০৭ সালে বিক্রি করার জন্য নিলামে উঠানো হয় কিন্তু কেউ এই বাড়ি কেনার আগ্রহ দেখায়নি। এই বাড়িটি প্রায় ৬ একর জায়গার উপর অবস্থিত আর এর দাম ১৬৫ মিলিয়ন ডলার।



3. Elena Franchuk’s Victorian Villa:

এই  বাড়িটি অবস্থিত লন্ডন শহরে। বাড়িটির দাম  ১৬১ মিলিয়ন  ডলার , ৫ তলা এই বাড়িতে আছে ১০ বেডরুম, সিনেমা হল , প্যানিক  রুম  আর  একটি অত্যাধুনিক  জিমনেশিয়াম।



4. The Penthouses at One Hyde Park:


২০১০ সালে এই বাড়ির কাজ শুরু হয়।যখন এই বাড়ির কাজ শেষ হবে তখন তা ২য় ব্যয়বহুল বাড়ি হবে।কেননা এই বাড়ি তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ১৬০ মিলিয়ন ডলার। এই  বাড়িটি বানাচ্ছে যৌথভাবে (Rolex, McLaren Automotive এবং Abu Dhabi Islamic Bank)। এর আয়তন হবে ৩৮৫,০০০বর্গফুট।


 

5. Aaron Spelling’s Manor:

এই বাড়ীটিরমূল্য ১৫০ মিলিয়ন ডলার এবং বাড়িটির আয়তন হল ৫৬,০০০ বর্গফুট। বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯১সালে।বাড়িটিতে আছে ১২৩টি বেডরুম,একটি টেনিস কোর্ট, স্কেটিইংরিঙ্ক, বোলিংস্পেস, সাথে আছে কয়েকটি সুইমিং পুল। আর বাড়িটি আমেরিকাতে অবস্থিত।



 

6. Hala Ranch:

এই বাড়িটির মালিক হল সৌদিআরব এর সুলতান বিন আব্দুলআজিজ।এই বাড়ীতিতে আছে ২৭টি বাথরুম, ১৫টি বেডরুম,ইনডোরপুল, প্রাইভেটস্কি খেলার মাঠ, টেনিস কোর্ট। বাড়িটির একটি বিশেষ সুবিধা হল ভিতরে তাপ শোষণ ক্ষমতা আর রয়েছে গাস নেয়ার আলাদা জায়গা। বাড়িটি ১৪,৩৯৭ বর্গফুট এলাকা জুড়ে অবস্থিত। বাড়িটির মূল্য ১৩৫ মিলিয়ন ডলার।

7. Dracula’s Castle: 

এই বাড়িটির মালিক হল “Archduke Dominic”। বাড়িটি ১৯৮০ সালে মিউসিয়াম হিসেবে রুপান্তর করা হয়।এই বাড়ীটি আছে Transylvania, Romania তে।বাড়িটির মূল্য ৮০ মিলিয়ন ডলার ।বাড়িটিতে আছে ৫৭টি রুম,১৭টি বেডরুম আর সবগুলতে আছে প্রাচীন মূল্যবান আসবাবপত্র।

8. Fleur de Lys:

এই বাড়িটির দাম ১২৫মিলিয়নডলার। বাড়িটি নির্মাণে সাহায্য করেছেন Suzanne এবং David Saperstein। ১৯৯০ সালে বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আমেরিকাতে অবস্থিত এই বাড়িতে আছে ১৫টি বেডরুম, বাহিরের দেয়াল ফ্রাঞ্চের বিশেষ ধরনের পাথর দিয়ে আবৃত এবং ভিতরে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ ব্যাবহার হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়।


9. Maison de l’Amitie:

এই বাড়িটির মালিক হল Donald Trump। Palm Beach এ অবস্থিত বাড়িটির আয়তন ৮০,০০০বর্গফুট। বাড়িটি বেশির ভাগ জায়গা ছোট সবুজ উদ্ভিদ রয়েছে এমনকি দেয়ালেও সাথে আর আছে একটি বলরুম, ১৫টি বেডরুম, ৮টি বাথরুম, একটি টেনিস ভবন, একটি বিলাস বহুল অথিতি কটেজ। আর হ্যাঁ এক্তা কথা বলতে ভুলে গেছি একটি সুবিশাল সুমিংপুল আছে আর এর দাম মাত্র ১২৫ মিলিয়ন ডলার। আর বাড়ীটা আমেরিকাতে অবস্থিত।


10. Updown Court:

সবশেষে, যে বাড়িটার কথা বলব সেটি অবস্থিত ইংল্যান্ডে।বাড়িটিতে আছে ১০৩টি রুম, একটি বোলিং স্পেস, একটি বিশাল সিনেমা হল,তিনটি বিশাল সুমিংপুল এবং একটি "squash court"। বাড়িটির  সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হল  এর  গাড়ি চালানোর  জায়গা, বাড়িটির  মূল্য  ১১৬ মিলিয়ন  ডলার

 

 কৃতজ্ঞতাঃ S.M. তানভীর আহমেদ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঢাকা শহরের আগের রূপ দেখুন

ভাবতেই অবাক লাগে আমাদের ঢাকা আগে কি ছিলো আর এখন কি অবস্তা। হতে পারতো এটি একটি পরিকল্পিত নগরী । আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের ঢাকার কিছু পুরানো ছবি। ১৯৮০ সাল - ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন ১৯৮০ সাল - মিটফোর্ড হাসপাতাল, বাবু বাজার, ঢাকা ১৯৬৩ সাল - গুলিস্থান সিনামা হল, দেশের প্রথম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হল। ঢাকা আহসান মঞ্জিল চক বাজার-১৯০৪ সাল বাবু বাজার--১৮৮০ দেওয়ান বাজার মসজিদ -১৮৮০ কবি নজরুল কলেজ -১৮৮০ ঢাকা স্টোডিয়াম ১৮৫০ ১৯০৪ সাল - আজিমপুর সলিমুল্লাহ মাদ্রাসা ১৮৯০ সাল - রেসকোর্স ময়দান ১৯০৫ সাল - ইসলামপুর ঢাকা ১৮৭০ সাল - ধোলাই খাল ১৮৭০ সাল - বুড়ীগঙ্গার তীরে মন্দির নবাবদের পার্ক মোহাম্মদ মসজিদ-১৮৮৫ রমনা গেইট -১৮৭০ লালবাগ --১৮৭৫ দিলকুশা গার্ডেন--১৯০৪      

jokes(daily update) 7

Jokes 1 এক লোক গেছে ড্রাইভিং লাইসেন্স আনতে। তাকে দেখানো হলো জেব্রা ক্রসিংয়ের ছবি,গিয়ারবক্স, রোড সাইন এগুলো। সে বলল- কিছুই চিনি না। পরিদর্শক বললেন, 'তোমার তো বেসিক জ্ঞ্যানই নাই, লাইসেন্স দেয়া হবে না।' লোকটা একটা ছবি বের করে বলল, 'এনারা আমাকে পাঠিয়েছেন।' পরিদর্শক বলল, 'এনাদের কে চেনো?' লোকটি বলল, 'চিনিঃ একজন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আরেকজন প্রাক্তন অর্থ মন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত।' পরিদর্শক লিখে দিলেন, 'লাইসেন্স দেয়া যেতে পারে। মন্ত্রী বলেছেন গরু ছাগল চিনলে লাইসেন্স দেয়া যাবে। আবেদনকারীর এই যোগ্যতা প্রমানিত হয়েছে।' Jokes 2 ১৯৯৫ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কখন যায় রে ২য় বন্ধু :জানি না । মনে হয় মাসে একবার ২০০০ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কেন গেল রে ...২য় বন্ধু :মনে হয় ট্রান্সফরমার পাল্টাইতাছে ২০১০ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কখন আসবে ? ২য় বন্ধু :আমাদের এলাকায় গেলে তোদের এলাকায় আসবে ২০১৪ ১ম বন্ধু : শুনলাম আজ নাকি কারেন্ট আসবে ? ২য় বন্ধু :না রে ,সব ভুয়া খবর । আজকে রাজশাহীর দিন ,কালকে খুলনা ,এরপর ঢাকা ২০২১ ১ম বন্ধু :দোস্ত আগেকার দিনে বলে কারেন্ট আসত ২য...

ভাইরাস এবং এন্টিভাইরাস

ভাইরাসঃ ভাইরাস একটি ক্ষতিকারক কম্পিউটার প্রোগ্রাম। কম্পিউটার ভাইরাস বাইরের উৎস থেকে কম্পিউটারের মেমোরিতে প্রবেশ করে এবং গোপনে বিস্তার লাভ করে মূল্যবান প্রোগ্রাম, তথ্য নষ্ট করা ছাড়াও অনেক সময় কম্পিউটারকে অচল করে দেয়। কম্পিউটার ভাইরাস হলো এমন একটি প্রোগ্রাম যা একটি ধ্বংসকারী হিসেবে নিজেকে (অথার্ৎ এর “এক্সিকিউটেবল” অংশকে) অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে সেঁটে দিয়ে নিজের অসংখ্য প্রতিরুপ (ডুপলিকেট) তৈরির মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটায় এবং পর্যায়ক্রমে এর ধ্বংসযজ্ঞের বিস্তৃতির নিশ্চয়তা বিধান করে। প্রকারান-রে এ সংক্রমিত প্রোগ্রামগুলো ভাইরাসের হয়ে অন্যান্য সুস’ প্রোগ্রামগুলোতে সংক্রমণ ঘটায়। কম্পিউটারের পরিভাষায় ভাইরাস (Virus) শব্দটিকে ভাঙলে পাওয়া যায় ’’ভাইটাল ইনফরমেশন রিসোর্সস আন্ডার সিজ’’ বা Vital Information Resources Under Seize = VIRUS . অথ্যার্ৎ গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রখ্যাত গবেষক প্রেড কোহেন ভাইরাস এর নামকরণ করেন। আবার অনেকেই VIRUS কে Very Important Resource under Seize নামেও অভিহিত করে থাকেন। ...