সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভয়ঙ্কর , রোমহর্ষক এবং শ্বাসরুদ্ধকর সব গল্প- ৩


গা শিউরানো জ্যান্ত কবর দেওয়ার ঘটনা অনেক ঘটেছে, জেনে হোক বা না জেনে। একটা সময় ছিল, যখন কাউকে শাস্তি হিসেবে কোনো কফিনে ভরে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হতো। তবে সব সময় যে শাস্তির জন্যই জ্যান্ত কবর দেওয়া হতো, তা নয়; কখনো কখনো ভুলে জ্যান্ত মানুষকে মৃত মনে করে কবর দিয়ে দেওয়া হতো। এভাবে কবর দেওয়ার ফলে বেশির ভাগ সময়ই জীবিত মানুষটা মাটির নিচেই দম বন্ধ হয়ে কিংবা খাবারের অভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মারা পড়ে। মৃত্যুর আগেই যদি ভুলে জ্যান্ত কবর দিয়ে দেওয়া হয়_এই ভয়ে জর্জ ওয়াশিংটন মৃত্যুশয্যায় ভৃত্যদের শপথ করান, তাঁর মৃত্যুর পর ১২ দিন পার না হলে যেন তাঁকে কবর না দেওয়া হয়। ১৮৯০ সালের দিকে অনেক রোগীকেই মৃত মনে করে মর্গে পাঠিয়ে দেওয়ার দৃষ্টান্তও রয়েছে।


♦ দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১৮৫১ সালে মারা যান ভার্জিনিয়া ম্যাকডোনাল্ড। কিন্তু তাঁকে কবর দিয়ে দেওয়ার পর মায়ের মনে হতে থাকে, তাঁর মেয়ে বুঝি এখনো বেঁচে আছে। ভার্জিনিয়ার কফিনটি তুলে আনার পর দেখা যায়, 'মৃত' ভার্জিনিয়ার হাত দুটি ক্ষতবিক্ষত। কফিনের গায়ে আঁচড়ের ধরন দেখেই অনুমান করা যায়, কতটা চেষ্টা করেছিল সে কফিন থেকে বেরিয়ে আসার।


♦ ১৮৯৬ সালে 'মৃত' ঘোষণার পর ম্যাডাম ব্লনডেনকে সমাহিত করা হয় একটি স্কুলের নিচে। কিন্তু স্কুলের বাচ্চারা যখন মাটির নিচ থেকে শব্দ শুনতে পাওয়ার অভিযোগ করে, তখন আবার কফিন ওপরে তুলে আনা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, সে সময় ব্লনডেন ছিলেন জীবনের অন্তিম মুহূর্তে, অল্প অল্প শ্বাস নিতে নিতেই ত্যাগ করেন শেষ নিশ্বাস।


♦ ১৮৮৬ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর অনুসারে, কলিন্স নামের একটি ছোট্ট মেয়ে হঠাৎ মারা যাওয়ার পর তাকে সমাহিত করা হয়। কিন্তু পরে আবার তার কফিন খোলার পর দেখা যায়, তার হাত, পা আর মুখের অভিব্যক্তি ছিল ভীষণ অস্বাভাবিক, যা তাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার ব্যাপারটি প্রমাণ করে।


♦ ১৮৮৯ সালে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের একটি খবরে গ্রেনোবলে সমাহিত করা একটি অজ্ঞাত লোকের কাহিনী ছিল। লোকটিকে মৃত ঘোষণা করার পর যখন তাঁর কফিনটি মাটিতে রাখা হচ্ছিল, তখন হঠাৎই ভেতর থেকে গোঙানি আর হাতড়ানোর শব্দ শোনা যায়। কিন্তু যতক্ষণে কফিনটি খুলে তাঁকে বের করে আনা হয়, ততক্ষণে তিনি দম বন্ধ হয়ে মারাই গেছেন। প্রায় একই ধরনের ঘটনার খবর প্রকাশিত হয় ১৮৩৮ সালে, দ্য সানডে টাইমসে।


♦ ১৮৭৭ সালে দ্য ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে এক মহিলার কথা বলা হয়, যাঁকে মৃত ঘোষণার পর সমাহিত করা হয়। কিছুদিন পর যখন আরেকটি মৃতদেহ দাফনের জন্য তাঁর কবর খোঁড়া হয়, তখন দেখা যায়, তাঁর শরীরটি ভীষণ বাঁকানো। এমন ঘটনা ঘটে ১৮৮৪ সালে মিস হকওয়াল্টের বেলায়ও।


♦ ১৮৭১ সালে ১৭ বছর বয়সী ম্যারি নোরাহ বেস্টকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে ধারণা করা হয়, তার মৃত্যুতে অনেকে উপকৃত হবে বলেই হয়তো তাকে তড়িঘড়ি সমাহিত করা হয়েছিল। ১৮৮১ সালে কফিন খুলে ম্যারির কঙ্কালটি পাওয়া যায় বসা অবস্থায়!


♦ ১৯০১ সালে মাদাম ববিন ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত হন। সে সময় তিনি ছিলেন গর্ভবতী। তাঁকে মৃত ঘোষণার পর যখন সমাহিত করা হচ্ছিল, তখন তাঁর নার্সের মনে হচ্ছিল, যেন তাঁর শরীরটা গরম আর পেশিগুলোও খুব একটা শক্ত নয়। পরে তার কফিন খুলে দেখা যায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। তিনি সেখানেই একটি বাচ্চা প্রসব করেছেন আর তারা দুজনই শ্বাস আটকে মারা যায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঢাকা শহরের আগের রূপ দেখুন

ভাবতেই অবাক লাগে আমাদের ঢাকা আগে কি ছিলো আর এখন কি অবস্তা। হতে পারতো এটি একটি পরিকল্পিত নগরী । আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের ঢাকার কিছু পুরানো ছবি। ১৯৮০ সাল - ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন ১৯৮০ সাল - মিটফোর্ড হাসপাতাল, বাবু বাজার, ঢাকা ১৯৬৩ সাল - গুলিস্থান সিনামা হল, দেশের প্রথম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হল। ঢাকা আহসান মঞ্জিল চক বাজার-১৯০৪ সাল বাবু বাজার--১৮৮০ দেওয়ান বাজার মসজিদ -১৮৮০ কবি নজরুল কলেজ -১৮৮০ ঢাকা স্টোডিয়াম ১৮৫০ ১৯০৪ সাল - আজিমপুর সলিমুল্লাহ মাদ্রাসা ১৮৯০ সাল - রেসকোর্স ময়দান ১৯০৫ সাল - ইসলামপুর ঢাকা ১৮৭০ সাল - ধোলাই খাল ১৮৭০ সাল - বুড়ীগঙ্গার তীরে মন্দির নবাবদের পার্ক মোহাম্মদ মসজিদ-১৮৮৫ রমনা গেইট -১৮৭০ লালবাগ --১৮৭৫ দিলকুশা গার্ডেন--১৯০৪      

jokes(daily update) 7

Jokes 1 এক লোক গেছে ড্রাইভিং লাইসেন্স আনতে। তাকে দেখানো হলো জেব্রা ক্রসিংয়ের ছবি,গিয়ারবক্স, রোড সাইন এগুলো। সে বলল- কিছুই চিনি না। পরিদর্শক বললেন, 'তোমার তো বেসিক জ্ঞ্যানই নাই, লাইসেন্স দেয়া হবে না।' লোকটা একটা ছবি বের করে বলল, 'এনারা আমাকে পাঠিয়েছেন।' পরিদর্শক বলল, 'এনাদের কে চেনো?' লোকটি বলল, 'চিনিঃ একজন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আরেকজন প্রাক্তন অর্থ মন্ত্রী অসীম দাশগুপ্ত।' পরিদর্শক লিখে দিলেন, 'লাইসেন্স দেয়া যেতে পারে। মন্ত্রী বলেছেন গরু ছাগল চিনলে লাইসেন্স দেয়া যাবে। আবেদনকারীর এই যোগ্যতা প্রমানিত হয়েছে।' Jokes 2 ১৯৯৫ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কখন যায় রে ২য় বন্ধু :জানি না । মনে হয় মাসে একবার ২০০০ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কেন গেল রে ...২য় বন্ধু :মনে হয় ট্রান্সফরমার পাল্টাইতাছে ২০১০ ১ম বন্ধু :কারেন্ট কখন আসবে ? ২য় বন্ধু :আমাদের এলাকায় গেলে তোদের এলাকায় আসবে ২০১৪ ১ম বন্ধু : শুনলাম আজ নাকি কারেন্ট আসবে ? ২য় বন্ধু :না রে ,সব ভুয়া খবর । আজকে রাজশাহীর দিন ,কালকে খুলনা ,এরপর ঢাকা ২০২১ ১ম বন্ধু :দোস্ত আগেকার দিনে বলে কারেন্ট আসত ২য...

Best top 5 gaming smartphone in 2023

Samsung Galaxy S23 Ultra   6.8-inch AMOLED display with 120Hz refresh rate Snapdragon 8 Gen 2 processor 12GB/16GB RAM 1TB/2TB storage 108MP main camera 40MP front camera 5000mAh battery Starting price: $1200 The Samsung Galaxy S23 Ultra is the best overall gaming smartphone in 2023. It has a powerful processor, a large and vibrant display, and plenty of RAM and storage. It also has a great camera system for capturing your gaming highlights. Review - http://gg.gg/phonereview Asus ROG Phone 7 Ultimate 6.8-inch AMOLED display with 165Hz refresh rate Snapdragon 8 Gen 2+ processor 18GB RAM 1TB storage 64MP main camera 12MP front camera 6000mAh battery Starting price: $1500 The Asus ROG Phone 7 Ultimate is the most powerful gaming smartphone in 2023. It has a dedicated gaming processor, a superfast display, and a ton of RAM. It also has a number of gaming-specific features, such as a side-mounted fan and a customizable RGB logo. Review - http://gg.gg/phonereviews Sony Xperia 5 IV 6.1-inc...